বিশ্বকাপ ফাইনাল

গেইল-শোয়েবদের কাছে এগিয়ে যারা  

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
গেইল-শোয়েবদের কাছে এগিয়ে যারা  

ঢাকা: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরের শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল ভারত। এরপর থেকে আর শিরোপার দেখা পায়নি ম্যান ইন ব্লুরা। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকেও বাদ পড়ে গেছে রোহিত শর্মার দল।

গেল বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনাল উঠলেও শিরোপার স্বাদ পায়নি রোহিতরা। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভারতকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন সাবেক পাকিস্তানি কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতার। তিনি মনে করেন, শুধু ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নয়, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ রোহিত শর্মাদের পাওয়া উচিত ছিল।

আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে বার্বাডোজে ভারতীয়দের চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত দক্ষিণ আফ্রিকা। শোয়েবের চোখে ভারতীয়রাই এগিয়ে। শোয়েব বলেন, ‘ভারত ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার যোগ্য দাবিদার। আমি অনেক দিন ধরেই বলে আসছি, তাদের সবশেষ দুটি বিশ্বকাপ জেতা উচিত ছিল। এই বিশ্বকাপও তাদের জেতা উচিত। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলছে। আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের পারফরম্যান্সে দক্ষিণ আফ্রিকা ভয়ে থাকবে।’

এমনকি ফাইনালে জিততে হলে ভারতকে পরামর্শ দিয়েছেন শোয়েব, ‘ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনা উচিত। আমি পন্থ ও রোহিতকে ওপেনিংয়ে দেখতে চাই।

বিরাটকে তিনে খেলানো উচিত আমি মনে করি। সে তার চেনা পজিশনে ভালো ব্যাটিং করবে। সে ক্রিজে সময় নিতে পছন্দ করে, বাজে বলে রান নিতে অভ্যস্ত। আমার তাকে ভালো ওপেনার মনে হয় না। বিরাট তিনে খেললেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’

এরপর প্রোটিয়াদের জয়ের টোটকা বাতলে দিয়ে শোয়েব আখতার বলেন, ‘যদি দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে, তাহলে তাদের উচিত ব্যাটিং করা। তাহলে জয়ের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও বাড়বে।’

আইসিসির এক ভিডিওতে ক্যারিবীয় তারকা বলেন, ‘এটি (ফেবারিট কারা) বলা কঠিন, যেখানে দুই দলই দারুণ এবং আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে এসেছে পুরো টুর্নামেন্টে। তাদের জন্য ফাইনালই উপযুক্ত মঞ্চ।’ উইন্ডিজদের হয়ে দু’বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী গেইলের মতে, বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার অনুভূতি সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে অনেক অর্জন আছে, কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুটি আংটির মতো কিছু নয়, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। এগুলো অনেকটা সুপার বোল আংটির মতো এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে পর্বতে ওঠার মতোও শারিরীকভাবে সামর্থ্যের প্রমাণ। যখন সে (কন্যা) প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠবে, তাকে উইন্ডিজদের হয়ে জেতা দুটি রিং-ই দিয়ে দেব। ২০১২ এবং ২০১৬ বিশ্বকাপের পদকগুলো আমার মেয়ের হাতে তুলে দিতে তর সইছে না।’

এআর

Link copied!